Friday, April 9, 2010

অ-সুখ ...

সমস্ত রাত,
পায়ে পায়ে আমার শরীর ভেদ করে তৈরী হয় সুড়ঙ্গ ...
আমি চারপায়ে হেঁটে ওর শরীরের কাছে পৌঁছই ...
ওর প্রতিটি ভাঁজে মুখ লুকিয়ে খুঁজি আমার বিপন্নতা ...
সে শরীরে মৃৎপাত্রের মত তখন অন্য কারুর আঙ্গুলের ছাপ
খেলা করে গেছে মৃত্যুর মত আদরে-আদরে ...
তাই ...
আমার নাকে ধুপ-ধুনো-চন্দনকাঠ ছাপিয়ে কিছু অন্যতর শ্বাপদের গন্ধ আসে ...
আমি আবার সোজা হয়ে উঠি, দাঁড়াই ...
আমার নখ-দাঁত বেরোয় কবিতার বর্ম ফুঁড়ে ...
আমার মাথায় সেই যন্ত্রনাটা আরম্ভ হয় আবার ... আমি দেখতে পাই ...
মিথ্যে ছড়িয়ে পড়ে মরা বিকেলের আকাশে ... আর ...
তক্ষুনি,
ঋতুমতীর মৃত শরীরকে শেষবারের মত দেখে নিয়ে ...
আমি ঝাঁপিয়ে পড়ি নন্দিনীর গভীরে ...
পড়তেই থাকি ...